আখের গুড় খাওয়ার নিয়ম
আখের গুড় খাওয়ার নিয়ম পরিমাণমতো খান (Moderation is Key):
প্রতিদিন ১০-২০ গ্রাম (১-২ চা চামচ) গুড় খাওয়া যথেষ্ট। অতিরিক্ত খেলে রক্তে চিনি বেড়ে যেতে পারে।আখের গুড় খাওয়ার নিয়ম খাওয়ার পর খান:
খাবার শেষে ১ চামচ গুড় খেলে হজমে সাহায্য করে এবং পেট পরিষ্কার রাখে।আখের গুড় খাওয়ার নিয়ম চা বা দুধে মিশিয়ে খাওয়া যায়:
সকালে দুধ বা আদা চায়ের সঙ্গে সামান্য গুড় মিশিয়ে খাওয়া যায়—এটি গলা ব্যথা বা ঠাণ্ডা কমাতে সাহায্য করে।শীতে খাওয়া বেশি উপকারী:
গুড় শরীর গরম রাখে, তাই শীতকালে নিয়মিত খাওয়া ভালো। সঙ্গে যদি তিল বা বাদাম থাকে, উপকার দ্বিগুণ হয়।গুড় পানি:
গ্রীষ্মকালে আখের গুড় ও পানি (গুড় ঘোলা) খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে ও শক্তি ফিরে আসে।ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য নয়:
ডায়াবেটিস থাকলে গুড় না খাওয়াই ভালো, কারণ এটি রক্তে গ্লুকোজ বাড়ায়।খাঁটি গুড় বেছে নিন:
বাজারে অনেক ভেজাল গুড় পাওয়া যায়। খাঁটি, রাসায়নিকমুক্ত গুড় খাওয়া সবচেয়ে নিরাপদ।
আখের গুড় কেন খাবেন?
মিষ্টি খেলেই শরীরে রোগ বাসা বাঁধবে এই ভয়ে মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে পারছেন না? জেনে অবাক হবেন, চিনির বিকল্প হিসেবে নিশ্চিন্তে খেতে পারবেন গুড়! আখের রস ও খেজুরের রস থেকে তৈরি গুড়ে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ যা সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। পায়েস, সেমাই অথবা পিঠা বানাতে পারেন গুড় দিয়ে। আবার গুড়ের শরবতও অত্যন্ত পুষ্টিকর।
আখের গুড় খাওয়ার উপকারিতা
- যারা মনে করেন মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলেই ওজন বাড়ে তারা কোনও চিন্তাভাবনা ছাড়াই খেতে পারেন গুড়। কারণ এটি খেলে
- ওজন বাড়ার কোনও সম্ভাবনা তো নেই-ই, উপরন্তু গুড়ে থাকা পটাসিয়াম ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
- গুড় খেলে এনার্জি পাবেন চটজলদি।
- ঠাণ্ডা লাগা কিংবা সর্দিতে কুসুম গরম পানিতে গুঁড় মিশিয়ে পান করতে পারেন। গরম চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে পান করলেও উপকার পাবেন।
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে গুড়।
- লিভার থেকে দূষিত পদার্থ বের করে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে গুড়।
- গরম কালে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে গুড়ের শরবতের বিকল্প নেই।
- নিয়মিত গুড় খেলে রক্তশূন্যতায় ভুগবেন না।
- গুড়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও মিনারেল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতেও সাহায্য করে এটি।
- গুড়ে রয়েছে পটাসিয়াম ও সোডিয়াম যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।